রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥
প্রস্তাবিত পিরোজপুরের বৈঠাকাটা উপজেলার সঙ্গে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ও বিশারকান্দি ইউনিয়ন অর্ন্তভূ্িক্তর অপচেষ্টার প্রতিবাদে এবং অখন্ড উপজেলা রাখার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বলদিয়া মলুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালণ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বলদিয়া মলুহার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিউর রহমান,বলদিয়া মলুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মুনিরুল ইসলাম,পশ্চিম মলুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আল-আমিন ও রাবেয়া খাতুন,ইলুহার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক নুরু, বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আশিক আহমেদ. ইলুহার ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের ইউডিসি উদ্যোক্তা মাহাতাব উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা এসময় অভিবক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলূল হকসহ বহু জ্ঞানী-গুনীর স্মৃতিধন্য পূণ্যভূমি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বানারীপাড়া উপজেলাকে খন্ডিত করার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,অবিলম্বে এ অপতৎপরতা বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালণ করা হবে। প্রসঙ্গত, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মুগারঝোর গ্রামের বৈঠাকাটা একটি বাজারের নাম।
নাজিরপুর উপজেলার ৩টি,বানারীপাড়ার দুটি ও স্বরূপকাঠি উপজেলার একটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে এ বৈঠাকাটা বাজারকে উপজেলায় রূপান্তরের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে,গত ১৬ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসনের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম রেজাউল ইসলাম শামীম এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
ওই সভায় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান নাসিম আলী বৈঠাকাটা উপজেলা গঠনের সার্বিক যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারী জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায়ও অনুরূপ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। ফলে পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বৈঠাকাটা উপজেলা গঠনের সম্ভাব্যতা ও জনমত যাচাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার ইলুহার ও বিশারকান্দি ইউনিয়নসহ দলমত,শ্রেণী-পেশা,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা বানারীপাড়া উপজেলাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ অপচেষ্টা রূখে দিতে অনেকেই আদালতে রিট (মামলা) দায়ের করারও হুশিয়ারী দিয়েছেন।